নোটিশ :
hathazarinews.com ওয়েব সাইটে আপনাকে স্বাগতম...
সংবাদ শিরোনাম:
নেশা মিশিয়ে প্রেমিক কে হত্যা: প্রেমিকাসহ গ্রেফতার ২ চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরামের নির্বাচন:১৩ পদের জন্য মনোনয়ন ফরম কিনেছেন ৪৬ প্রার্থী পরিত্যক্ত রিভলবারসহ ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার কম্বলের রহস্য কী? সাত বছর পরে জানতে পারে স্বামীকে হত্যা করলো স্ত্রী! ডাকাতির সময় সেনা সদস্যের গুলিবিদ্ধের ঘটনায় থানায় মামলা: গ্রেফতার ১ সাংবাদিক আব্দুল আউয়াল রোকনের পিতার মৃত্যুবার্ষিকীতে হাটহাজারী অনলাইন প্রেসক্লাবের শ্রদ্ধা  হাটহাজারীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মারা যাওয়া দুই পরিবারকে দেখতে গেলেন উপদেষ্টা ফারুক-ই আযম ফরহাদাবাদে নিজের গ্রামের বাড়িতে ঈদের নামাজ আদায় করলেন উপদেষ্টা ফারুক ই আজম  শাহ সূফী ছৈয়্যদ আবদুচ্ছালাম ঈছাপুরী (রহঃ)”র  ওরছ শরীফ মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত হাটহাজারী সাংবাদিক ফোরামের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
দীর্ঘ ১০ বছর পর বান্দরবানের চাঞ্চল্যকর অপহরণ ও গণধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী আটক

দীর্ঘ ১০ বছর পর বান্দরবানের চাঞ্চল্যকর অপহরণ ও গণধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দীর্ঘ ১০ বছর পর বান্দরবান জেলার আলীকদম উপজেলার চাঞ্চল্যকর অপহরণ ও গণধর্ষণ মামলার পলাতক প্রধান আসামী সাদেক হোসেন মুন্নাকে আটক র্যাব ৭।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

গত মঙ্গলবার কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানাধীন মৌলভীরকুম বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

র্যাব ৭ এর সিনিয়র সহকারী মিডিয়া পরিচালক মোঃ নুরুল আবছার বলেন, ভুক্তভোগী ভিকটিম ১৬ বছর বয়সের এবং বান্দরবান জেলার আলীকদম থানার শীলবুনিয়া এলাকায় তার নানীর বাড়িতে থাকতেন। আসামী সাদেক হোসেন মুন্না প্রায়ই ভিকটিমের এলাকায় আসা যাওয়া করত এবং ভিকটিমের পরিচিত ছিল। গত ১৪ মার্চ ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে সাদেক হোসেন ভিকটিমকে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে এবং বিভিন্নভাবে প্রলুব্ধ করে অসৎ উদ্দেশ্যে আলীকদম হতে চট্টগ্রামে নিয়ে আসে। চট্টগ্রাম আসার পর সাদেক হোসেন ভিকটিমকে একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে আসে এবং সেখানে ১৫ ও ১৬ মার্চ ২০১২ইং তারিখ দুই দিন ভিকটিমের ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

পরবর্তীতে সাদেক হোসেন ভিকটিমকে প্রথমে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া এবং পরবর্তীতে টেকনাফ থানার একটি অজ্ঞাত বাড়িতে কয়েকদিন আটকে রেখে উপর্যুপরী ধর্ষণ করে। ২১ মার্চ ২০১২ইং তারিখে সাদেক হোসেন ভিকটিমকে কতিপয় দুস্কৃতিকারীর নিকট রেখে সেখান হতে চলে আসে। সাদেক হোসেন চলে আসার পর ৪/৫ জন দুস্কৃতিকারী ভিকটিমকে ২২ হতে ২৫ মার্চ ২০১২ তারিখ পর্যন্ত পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ভিকটিম কৌশলে একজন দুস্কৃতিকারীর মোবাইল হতে তার এক মামাকে সমস্ত ঘটনা অবহিত করে। ভিকটিমের মামা ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য থানায় অভিযোগ দায়ের করলে আসামীরা বিপদ বুঝতে পেরে গুরুতর আহত অবস্থায় ভিকটিমকে টেকনাফ বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় রেখে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টেকনাফ থানার পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে বান্দরবান জেলার আলীকদম থানায় ১১জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং ০২ তারিখ ৩১ মার্চ ২০১২ ইং, জি আর নং ৭২/১২, তারিখ ০১ এপ্রিল ২০১২ইং, ধারা -২০০০ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী/০৩ এর ৭/৯/(১)/৯/(৩)/৩০।

র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম বর্ণিত আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর অপহরণ এবং গণধর্ষণ মামলার পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল গত ৯ আগস্ট বিকাল আনুমানিক আড়াই টার দিকে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানাধীন মৌলভীরকুম বাজার এলাকা হতে বর্ণিত অপহরণ ও গণধর্ষণ মামলার পরোয়ানাভুক্ত ১নং এবং প্রধান আসামী সাদেক হোসেন মুন্না(৩২), পিতা-মোঃ খলিল, সাং-পশ্চিম নিজপানখালী, থানা-চকরিয়া, জেলা-কক্সবাজারকে আটক করতে সক্ষম হয়।

পরবর্তীতে ধৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামী বলে স¦ীকার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন




সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত,© এই সাইডের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Desing & Developed BY ThemeNeed.com