নোটিশ :
hathazarinews.com ওয়েব সাইটে আপনাকে স্বাগতম...
সংবাদ শিরোনাম:
হাটহাজারীতে গুলিবিদ্ধের ৪ দিনের মাথায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মারা গেলেন ছাত্রদল কর্মী আরিফ বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিটের আগুনে পুড়লো ৩ বসতঘর: প্রশাসনের সহযোগিতা হাটহাজারীতে নিখোঁজের ৩ দিন পরে পরিত্যক্ত পুকুর থেকে বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার বজ্রপাত ও বৃষ্টির মধ্যে হালদাপাড়ে শ্বেত স্বর্ণের ডিম সংগ্রহের উৎসব একটানা ১২ বছর হাটহাজারী পৌরসভাকে দুর্নীতির আখড়া বানানো বেলাল-মনোয়ারের অধ্যায় সমাপ্ত নেশা মিশিয়ে প্রেমিক কে হত্যা: প্রেমিকাসহ গ্রেফতার ২ চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরামের নির্বাচন:১৩ পদের জন্য মনোনয়ন ফরম কিনেছেন ৪৬ প্রার্থী পরিত্যক্ত রিভলবারসহ ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার কম্বলের রহস্য কী? সাত বছর পরে জানতে পারে স্বামীকে হত্যা করলো স্ত্রী! ডাকাতির সময় সেনা সদস্যের গুলিবিদ্ধের ঘটনায় থানায় মামলা: গ্রেফতার ১
অনন্যা আবাসিক এলাকায় ছুরিকাঘাতে ফটোগ্রাফার নিহতের ঘটনায় গ্রেফতার ৫

অনন্যা আবাসিক এলাকায় ছুরিকাঘাতে ফটোগ্রাফার নিহতের ঘটনায় গ্রেফতার ৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: অনন্যা আবাসিক এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে ফটোগ্রাফার শাওন বড়ুয়া (২৫) হত্যা মামলার পুলিশের টানা অভিযান ৫ জনকে গ্রেফতার করে চান্দগাও থানা পুলিশ।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের কে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন ইমতিয়াজ আলম মুরাদ (২১), আশহাদুল ইসলাম ইমন (২৪), তৌহিদুল আলম (২৩), মো. বাহার (২২) ও মো. আলমগীর (৩০)। তাদের মধ্যে মুরাদ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত এবং ইমন ক্যামেরা ছিনতাইয়ের মূল পরিকল্পনাকারী।

সিএমপির অতিরিক্ত উপ–কমিশনার (উত্তর) পংকজ দত্ত বলেন, নিহত শাওনের মতো গ্রেপ্তার ইমনও ফটোগ্রাফি করেন। তার একটি ডিজিটাল ক্যামেরার শখ জাগে। বিষয়টি তিনি তার বন্ধু তৌহিদকে জানান। তারা এলাকার বড় ভাই বাহারকে বিষয়টি খুলে বলেন। বাহারসহ মিলে তারা ক্যামেরা ছিনতাইয়ের ফন্দি আঁটেন। সেখানে তারা যুক্ত করেন সিএনজি টেঙিচালক আলমগীর ও মুরাদকে। তারা প্রথমে কয়েকটি ফেসবুক পেইজে যোগাযোগ করেন বিয়ে বাড়িতে ফটোসেশন করার জন্য। অনেকেই তাদের আহ্বানে সাড়া দেয়নি। একপর্যায়ে জনি বড়ুয়া নামে এক ফটোগ্রাফার সাড়া দেন। তিনি শাওন বড়ুয়ার সঙ্গে তাদের যোগাযোগ করিয়ে দেন। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ইমন গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে ছবি তোলার কথা বলে সাড়ে সাত হাজার টাকায় শাওনের সঙ্গে চুক্তি করেন। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৫০০ টাকা অগ্রিমও পাঠিয়ে দেন। কথামত শাওন গত সোমবার রাতে কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় যান। সেখান থেকে শাওনকে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে নেয়ার কথা বলে অনন্যা আবাসিক এলাকায় নিয়ে যান মুরাদ। মুরাদ শাওনের মোটরসাইকেলে করে এবং ইমন ও বাহার একটি টেঙি নিয়ে সেখানে পৌঁছায়। অনন্যা আবাসিক এলাকায় নেয়ার পরপরই শাওনের কাছ থেকে মুরাদ ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে মুরাদ শাওনের উরুতে ছুরিকাঘাত করে। পরে শাওন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সে সুযোগে মুরাদ একের পর এক শাওনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ৭টি ছুরিকাঘাত করে। পরে মুরাদ বিষয়টি বাহারকে বলে, ভাই আমি শাওনকে মেরে ফেলেছি। তখন বাহার এসে ক্যামেরাসহ মুরাদকে নিয়ে পালিয়ে যায়। শাওনের মোবাইলটি সেখানেই ফেলে যায়। ধস্তাধস্তির সময় হাত থেকে খুলে পড়া মুরাদের ঘড়িটিও নিতে ভুলে যায় তারা।

অতিরিক্ত উপ–কমিশনার (উত্তর) পংকজ দত্ত বলেন, শাওনকে যে দোকানের মোবাইল থেকে টাকা পাঠানো হয়েছিল গত মঙ্গলবার বিকালে দোকানটি শনাক্ত করা হয়। কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকার দোকানটিতে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ইমনকে দেখা যায় টাকা পাঠাতে। পরে কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকা থেকে ইমনকে আটকের পরই অন্যদের আটক করা হয় এবং বাহারের বাসা থেকে ছিনতাই করা ক্যামেরাটি উদ্ধার করা হয়।

 

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন




সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত,© এই সাইডের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Desing & Developed BY ThemeNeed.com