নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রেমিক রনজিৎ দত্ত নিলক (৫৪) কে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করে ঘাতক প্রেমিকা রুনা আকতার পিংকি ও তার পরকীয় প্রেমিক মিজানকে গ্রেফতার করে ডবলমুরিং থানা পুলিশ।
রবিবার (১১ মে) বিশেষ অভিযান চালিয়ে দুইজন কে গ্রেফতার করা হয়।
গত ১০/০৫/২০২৫ খ্রি. তারিখ সকাল অনুমান ০৮.৩০ ঘটিকার সময় জনৈক পথচারী জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে ডবলমুরিং মডেল থানায় সংবাদ প্রদান করে যে, ডবলমুরিং থানাধীন পাহাড়তলী বাজারস্থ ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পার্শ্বে সুলতান সাহেবের ০১ তলা বিশিষ্ট বিল্ডিংয়ের ছাদে ০১ জন অজ্ঞাতনামা পুরুষের মৃতদেহ পড়ে আছে। উক্ত সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষনিকভাবে থানা এলাকায় টহল ডিউটিতে নিয়োজিত এসআই শহিদুল কবির সোহাগ সংগীয় অফিসার ও ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অজ্ঞাতনামা পুরুষের মৃতদেহ দেখতে পায়। তাৎক্ষনিক
ভাবে তিনি অজ্ঞাতনামা পুরুষের পরিচয় সনাক্তের জন্য সিএমপি’র বিভিন্ন থানায় ছবিসহ বেতার বার্তা প্রেরণ করেন। অন্যদিকে গত ০৯/০৫/২০২৫ ইং তারিখ বিকাল অনুমান ১৬.৩০ ঘটিকা হতে ভিকটিমের পরিবার ভিকটিম রনজিৎ দত্ত নিলক (৫৪)কে খোঁজে না পেয়ে পাহাড়তলী ও আকবরশাহ থানায় যোগাযোগ করে জানতে পারেন যে, ডবলমুরিং থানা পুলিশ একটি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ভিকটিমের পরিবার ডবলমুরিং মডেল থানায় এসে উক্ত অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মৃতদেহটি তাদের বলে সনাক্ত করেন। পরবর্তীতে ভিকটিমের স্ত্রী শিপ্রা মজুমদার (৪৯) বাদী হয়ে ডবলমুরিং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যা ডবলমুরিং মডেল থানার মামলা নং-০৩, তারিখ- ১০/০৫/২০২৫ খ্রি. ধারা- ৩০২/৩৪ পেনাল কোড। এটি একটি ক্লুলেস মার্ডার মামলা। ডবলমুরিং মডেল থানার একটি চৌকস টিম এ ক্লুলেস মার্ডার মামলার রহস্য উদঘাটনের জন্য একাধিক বিশ্বস্ত সোর্সের তথ্য এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে মামলাটি রুজু হওয়ার ০৮ ঘন্টার মধ্যে অর্থাৎ গত ১০/০৫/২০২৫ খ্রি.তারিখ ২৩.০০ ঘটিকার সময় এ হত্যাকান্ডের অন্যতম প্রধান আসামীর রুনা আক্তার প্রকাশ পিংকি আক্তার প্রকাশ বিলু (৩৫)’কে সিএমপি’র পাহাড়তলী থানাধীন আসামীর বর্তমান ঠিকানার বাসা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় এবং এই ক্লুলেস মার্ডার মামলার রহস্য উদঘাটন করে। পরবর্তীতে উক্ত গ্রেফতারকৃত আসামী রুনা আক্তারের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ১১/০৫/২০২৫ খ্রি. তারিখ তার সহযোগী আসামী কথিত স্বামী ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ প্রকাশ মিজান (৫০)কে ডবলমুরিং থানাধীন দেওয়ানহাট এলাকা হতে গ্রেফতার করে। আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভিকটিম রনজিৎ এর সাথে আসামী রুনা আক্তারের প্রেমের সর্ম্পক ছিল এবং ভিকটিম আসামী রুনার বাসায় আসা-যাওয়া করত।এরই ধারাবাহিকতায়
ভিকটিম গত ০৯/০৫/২০২৫ ইং তারিখ বিকাল অনুমান ১৭:০০ ঘটিকার সময় আসামী রুনা আক্তারের বাসায় যায়। ভিকটিম আসামীর বাসায় আসলে পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক আসামী রুনা আক্তার ও তার সহযোগী আসামী ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ প্রকাশ মিজান ভিকটিমকে নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করিয়ে ভিকটিমের কাছে থাকা ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ নিয়ে নেয়। ভিকটিম উক্ত নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবনে অচেতন হয়ে পড়লে আসামীদ্বয় ভিকটিমকে পাশের একটি বিল্ডিংয়ের ছাদে ফেলে দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।